গ্রীষ্মকালের কোন ফল বেশি উপকারী?
এই গ্রীষ্মকালে আম, জাম, আনারস, লিচুতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। যা আপনাকে এই গ্রীষ্মকালে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সহায়তা করবে।

এই গ্রীষ্মকালে আম, জাম, আনারস, লিচুতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ।
আম
স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে আম অতুলনীয়। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর আম চাষের জন্য বিখ্যাত।
পাকা আমে থাকে প্রচুর ক্যারোটিন। আম লিভার বা যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাঁচা ও পাকা আম অতুলনীয়।
জাম
কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, পাবনা, দিনাজপুর অঞ্চলে সাধারণত জাম বেশি পাওয়া যায়। এই ফলের কচিপাতা পেটের অসুখ সারাতে খুব উপকারী। আম ও জামের রস একত্রে খেলে বহুমূত্র রোগ ভালো হয়ে থাকে। লোকমুখে প্রচলিত আছে, জামের রস রক্তকণিকা পরিষ্কারে সহায়তা করে থাকে।
আনারস
সিলেট, মৌলভীবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও নরসিংদী জেলায় আনারস বেশি হয়। পাকা আনারস শক্তি বাড়ায়। কফ নিরাময়ে সহায়ক, পিত্তনাশক এবং হজম বৃদ্ধি করে থাকে। এ ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কৃমি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সহজেই। আনারসের জ্যাম-জেলি তৈরি করেও সংরক্ষণ করা সম্ভব।
লিচু
রাজশাহী, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম জেলায় লিচু বেশি উৎপাদিত হয়। এই ফলের রসালো অংশ তৃষ্ণা মেটাতে সহযোগিতা করে। এর আঁটি চর্মরোগে বিশেষ উপকারী। কাশি, পেটে ব্যথা ও টিউমার বৃদ্ধি রোধে লিচু অনেক উপকারী ফল। এ দিয়ে জ্যাম তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। তবে যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের লিচু কম খাওয়াই উত্তম।
গরমে দেশি ফল বেশি খান। সুস্থ থাকুন।
Thank you for reading!