গ্রিন টির উপকারিতা

পানীয় হিসেবে গ্রিন টি এর সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে অনেক প্রয়োজনীয় গুণাগুণ যা আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকারী।
গ্রিন টি অন্যান্য চায়ের তুলনায় আমাদের শরীরে জন্য অধিক স্বাস্থ্যকর। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ ঘুচিয়ে ত্বক এর জৌলুস ফিরিয়ে আনে এবং ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে রয়েছে আরো অসংখ্য গুনাগুণ।
তাহলে চলুন গ্রিন টি এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
১।গ্রিন টি ওজন কমাতে সবচেয়ে বেশী কার্যকরী।এটি হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
২।গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেকাইন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে ।
৩।গ্রিন টি তে রয়েছে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
৪।চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল (Dark Circle) কমানোর জন্য গ্রিন টির দুটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রিজ এ রেখে ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখুন।এটি ব্যবহারে চোখের ফোলা ভাব ও চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করবে।
৫।গ্রিন টি অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতেও অনেক বেশি কার্যকরী। এতে থাকা থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
৬।গ্রিন টিতে থাকা ফ্লেভোনয়েড নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সতেজ রাখে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীর সতেজ থাকে।
৭।নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, ওরাল ব্যাকটেরিয়া (Oral Bacteria) ধ্বংস করে এবং ডেন্টাল ক্যাভিটিস (Dental Cavities) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও গ্রিন টি অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে জন্য অনেক উপকারী।বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমানো, ক্যানসার প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গ্রিন টি সহায়তা করে ।
Thank you for reading!