গরমে চারা গাছের যত্ন।
এই তীব্র গরমে গাছের চারা শুকিয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বহুগুণে। সূর্যের প্রচন্ড তাপ গাছের চারার বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সময় সূর্যের আলো চারা গাছের ওপর পড়লে গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।
আর টব বা বারান্দার গাছগুলো থাকে অনেকটা সীমাবদ্ধতার মধ্যে। এখানে মাটি, পানি, আলো-বাতাস সব কিছুই সীমিত। তাই অত্যধিক গরমে কিছু কিছু গাছের ক্ষেত্রে খানিকটা বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে।
চারাগাছে প্রয়োজনীয় সার দেওয়া জরুরি। সঠিকভাবে চারা বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস। প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত আলো বাতাসে গাছ খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। যে কোনো জাতের গাছের জন্য যা খুবই দরকারি। তাই বাসা বাড়িতে এমন স্থানে গাছ রাখুন, যেখানে নিয়মিত আলো-বাতাস মেলে।
পানির ব্যবহার
কখনই চারাগাছে অতিরিক্ত পানি দেওয়া উচিত নয়। পানি দেওয়ার আগে মাটির অবস্থা দেখে নিতে হবে। যদি মাটি স্যাঁতসেঁতে হয়, তাহলে শুধু চারার ওপর পানি আলতো করে ছিটিয়ে দিতে হবে।গাছে পানি দেওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে রাতেরবেলা, তাহলে সকাল পর্যন্ত তার স্থায়িত্ব থাকে। তপ্ত রোদে গাছে কখনো পানি দিবেন না, টবের মাটি সূর্যের তাপে গরম হয়ে থাকে তখন গাছে পানি দিলে গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
গাছের পুষ্টি
মাটির সাথে প্রয়োজনীয় সার মিশালে বাগান হবে আরো সবুজ ও সমৃদ্ধ। চা পাতা, ডিমের খোসা, গোবর সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যা ফল ও ফুলগাছের জন্য বেশ উপকারী।
আগাছা পরিষ্কার
আগাছা চারার বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করে। তাই আগাছার হাত থেকে চারাকে রক্ষা করতে আগাছা ছাটাই করুন। গরমে অনেক সময় চারা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এসব আগাছা ছাঁটাই করলে চারার বিকাশ বৃদ্ধি পাবে এবং চারা সতেজ হবে।
পোকামাকড় থেকে মুক্তি
গ্রীষ্মকালে পোকামাকড়ের আক্রমণটা একটু বেশিই থাকে। সুতরাং কীটনাশক ব্যবহার জরুরি। রাসায়নিক কীটনাশকের চেয়ে প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত কীটনাশক ব্যবহার করা ভালো। নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন কীটনাশক। সাবান পানি গুলিয়ে গাছে স্পে করে করে দিতে পারেন এতে পোকামাকড় হতে গাছ রক্ষা পাবে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
Thank you for reading!