গরমে খাওয়া দাওয়া
গরম তো চলে এলো এই গরমে খাদ্য তালিকা হতে হবে একটু অন্য রকমের। খাবার তালিকায় রাখতে হবে হালকা ও কম চর্বিযুক্ত খাবার। এই গরমের সময় সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি চলে যায় এটি পূরণ করা অনেক বেশি প্রয়োজন।

গরম তো চলে এলো এই গরমে খাদ্য তালিকা হতে হবে একটু অন্য রকমের। খাবার তালিকায় রাখতে হবে হালকা ও কম চর্বিযুক্ত খাবার। এই গরমের সময় সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি চলে যায় এটি পূরণ করা অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই অনেক বেশি বেশি পানি পান করতে হবে আর সাথে প্রচুর শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে। এই সময় ফলের প্রয়োজনীয়তা বেশি বলে হয়তো এ সময় নানা রকমের ফল বাজারে পাওয়া যায়। তরল খাবারের পরিবর্তে বিভিন্ন রকমের ফলের রস ও লেবুর শরবত খেতে পারেন কিন্তু বাহিরে খোলা আকাশের নিচে বানানো বিভিন্ন রকমের জুস ও শরবত না খাওয়াই ভালো।
গরমে সকালের নাশতায় তেলে ভাজা পরোটা ও সবজি এড়িয়ে চলাই ভালো। নাশতা হতে হবে অবশ্যই পুষ্টিকর ও ফলযুক্ত। সারা দিনের খাদ্য তালিকা যাই হোক না কেন, সকালের খাবার হতে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় যেন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বড়দের ক্ষেত্রে খাবারে কমপক্ষে ৪০০ ক্যালোরির জোগান থাকা উচিত। সকালে বা রাতে যখনই হোক না কেন, দুধ থাকতে হবে। এই গরমে দুধটা ঠান্ডা হলে আর তাতে কোনো ফ্লেভার নিয়ে খেলে সেটার তো কোনো তুলনাই নেই। নয়তো চলতে পারে হালকা রং চা বা ভেষজ চা।
দুপুরের খাবারে সবজি একটা জরুরি খাবার। সেটা তেলে না ভেজে গ্রিল বা বাষ্পে ভাপ দিয়ে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। সবজি রান্নায় অল্প আঁচ হলে তার পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। অন্যান্য খাদ্য তালিকার পাশাপাশি দই গরমকালে আমাদের শরীরের এক মহা আপনজন-সেটা টক দই বা মিষ্টি দই যাই হোক না কেন। বেশি কোলেস্টেরল খাবার পরিহার করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সয়াবিন তেলের পাশাপাশি অলিভ তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবার মান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার পর ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত বা যেকোনো ফল খাওয়ার অভ্যাস ভালো।
রাতে খাদ্য তালিকায় ভারী খাবার না রাখাই ভালো। অনেক রাত করে রাতের খাবার খাওয়া শরীরে চাপ সৃষ্টি করে। এতে পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে ডায়রিয়া, বদহজম, বমি বমি ভাব হয়। তাই আগেই রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে গরম দুধ না খাওয়াই ভালো।
খাবার দীর্ঘ সময় পর বেশি করে না খেয়ে, কম সময় পরপর (চার ঘণ্টা কমপক্ষে) বারবার খাওয়ার অভ্যাস ভালো। তবে পরিমাণ অবশ্যই কম হবে। খাওয়ার সময়টা ঠিকভাবে মেনে চলা উচিত। সময় মেনে খাবার অভ্যাস শরীরের জন্য সহায়ক।
দৈনিক কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খাওয়া উচিত হলেও এই গরমে পানি খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে হবে। সঙ্গে দুধ, ফলের রসসহ যেকোনো পুষ্টিকর পানীয় খেতে হবে।
Thank you for reading!