কফি কিভাবে গায়ের রং ফর্সা করে

এক চুমুকে শরীর ও মন দুটোকে চাঙ্গা করার জন্যে এক কাপ কফি যথেষ্ট।সকালে কিংবা বিকেলে এককাপ কফি না হলে দিন চলে না যেন। বৃষ্টিতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে এককাপ কফি, বন্ধুদের আড্ডা আরও প্রাণবন্ত করতে এককাপ কফি, বিষণ্ণতাকাটাতে এককাপ কফি, অফিসে ব্যস্ততার ফাঁকে এককাপ কফি- কোথায় কফি নেই! কফি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুধু কি তাই! নিয়মিত কফি খেলে বাড়ে মানসিক শক্তি।এটি ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। কাজে মনোযোগ দেওয়ার জন্য কাজের ফাঁকে এককাপ কফি যথেষ্ট।তবে শুধু পানীয় হিসেবেই কফি জনপ্রিয় নয়, এর রয়েছে আরও অনেক ব্যবহার।আমাদের ত্বকের যত্নে এটি সমান কার্যকরী। ত্বক ফর্সা করতে কফি অত্যন্ত কার্যকরী।
তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কফি কিভাবে গায়ের রং ফর্সা করে—
কফির তৈরি স্ক্র্যাব
পরিষ্কার বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে কফির কয়েকটি দানা ভিজিয়ে রাখুন। সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। এবার একটি ছাঁকনির সাহায্যে কফি তুলে নিন। এখন এই কফির দানাগুলো আলতোভাবে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। পাঁচ মিনিট পর কফি ভেজানো পানি দিয়েই মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন এই স্ক্র্যাব। আর ফলাফল দেখতে পাবেন দুই সপ্তাহের মধ্যেই।
মাস্ক
আধা কাপ কফির সঙ্গে আধা কাপ কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন। তাতে ১ কাপ দুধ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও মধু নিন। মধু এখানে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। আর লেবুর রস ও দুধ আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করুন এই মাস্ক।
কফি-লেবুর ব্যবহার
এই পদ্ধতিতে যত্ন নেওয়ার জন্য প্রথমে এক চা চামচ চিনি, এক চা চামচ কফি পাউডার, এক টুকরো লেবুর রস ও আধা চা চামচ তরল দুধ নিতে হবে। এবার সব উপাদান ভালোভাবে মেশাতে হবে। মিশ্রণটি যেন পাতলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাতলা হয়ে গেলে তাতে সামান্য কফি যোগ করতে হবে। এবার এই মিশ্রণ মুখে পাঁচ-সাত মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ হয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এভাবে কফি নানা ভাবে ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। এ ধরনের রূপচর্চার জন্য রাতের সময়টাই সেরা। কারণ এরপর সারারাত ত্বক বিশ্রাম পায়। মুখ ধোওয়ার পর তাতে ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
Thank you for reading!