কচুর লতি যাদের কখনও খাওয়া উচিত নয়

অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং উপকারি সবজি হলো কচু। আমরা কম বেশি সবাই কচুর লতি সবজিটি চিনি। কেউ কেউ এই সবজিটি অধিক পছন্দ করে আবার কেউ কেউ এই সবজিটি খেতে একদমই পছন্দ করে না। কারণ অনেকের এই সবজিটি খেলে গলা ধরার সমস্যায় ভুগতে হয়। কিন্তু এই খাবারটিতে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ। তাই সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করলে গলা ধরার সমস্যায় পরতে হয় না।
বেশিরভাগ চিংড়ি অথবা শুঁটকি দিয়ে কচুর লতি খেতে সবাই পছন্দ করে। এবং এটির স্বাদ তখন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এতো স্বাদের ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজির গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকই সঠিক তথ্য জানে না। তাহলে চলুন আজ আমরা কচুর লতির উপকারি ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেই–
কচুর লতির উপকারিতা :
১.কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
২.এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দেহের হাড় শক্ত করে এবং চুলের ভাঙ্গা রোধ করে।
৩.খেলোয়াড়, বাড়ন্ত শিশু, গর্ভাবস্থা ও কেমোথেরাপি নিচ্ছে এমন রোগীদের জন্য কচুর লতি খুবই উপকারি একটি সবজি উপাদান।
৪.কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ যা রক্তশূন্যতা দুর করতে সাহায্য করে এবং এটি রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫.কচুর লতি কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং এটি রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমায়।
এছাড়াও আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে এই সবজিতে। এখন আমরা কচুর লতির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানবো-
কচুর লতির ক্ষতিকর দিক :
১.কচুর লতিতে রয়েছে অক্সলেট যার জন্য রান্নার পরেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কচুর লতি খেলে গলা চুলকায়। তাই কচুর লতি খাইয়ার সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তাহলে আর গলা চুলকাবে না।
২.যাদের অ্যালার্জি বা হজমে সমস্যা রয়েছে তারা এই সবজিটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩.এছাড়াও যারা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টরেলের সমস্যায় ভুগছে তারা কচুর লতি খাওয়ার সময় চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ বর্জন করুন। এতে করে এই সবজিটি খাওয়াতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
ছবিঃ সংগৃহীত
Thank you for reading!