ওজন কমাতে সালাদ

মানুষ ভোজনপ্রেমি। খাবার খেতে সবাই ভালোবাসে। আর খাওয়া দাওয়া মানেই হলো তেল, চর্বি আর মসলাযুক্ত খাবার । এতে করে দেখা যায় পরবর্তীতে আমাদের ওজন নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। তখন শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার দিকেই ঝোঁক পরে যায় । পরবর্তীতে দেখা যায় যে, আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে এইসকল বেশি ক্যালরি আর ফ্যাটিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হয়।
একটু বাড়তি ওজন যে কতোটা ঝামেলার তা শুধু যারা ভুক্তভোগী তারাই জানেন। সবাই এই বাড়তি ওজন কমানোর অনেক চেষ্টা করে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় ডায়েট, ব্যায়াম সব কিছু দিয়ে চেষ্টা করেও ওজন কমানো সম্ভব হয় না। আর তার উপর যারা ভোজনপ্রেমি তাদের পক্ষে এইসকল ডায়েটিং বেশিদিন ধরে রাখাও অনেক কষ্টসাধ্য।
তাহলে এই বাড়তি ওজন কমানোর জন্য আমাদের কি করা উচিত? খাওয়া বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত?
উত্তর টা হলো না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাওয়া বাদ দিবেন না। শুরু করবেন সালাদ খাওয়ার অভ্যাস। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখবেন সালাদ। যা আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এবং আপনার স্বাস্থ্যও ঠিক রাখবে।
কম ফ্যাট, কম ক্যালোরি এবং পানিযুক্ত সবজি ও ফল যেমন – শসা, টমেটো, গাজর, আঙ্গুর, আম, তরমুজ, স্ট্রবেরি ইত্যাদি দিয়ে সালাদ খেতে পারেন। সাধারণত দুপুরের খাবারে সালাদ খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী। এতে শরীরে ফ্যাট কম জমতে সাহায্য করে।
সালাদ ফাইবারের সবেচেয় ভালো উৎস যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও সালাদ পেট পরিষ্কার রাখতে, বদহজমের সমস্যা দূর করতে, চুল, ত্বক ভালো রাখতে এমনকি হার্টের সমস্যা দুর করতে অনেক উপকারি।
সালাদে যে সকল খাবার রাখবেন :
মৌসুমি ফল, লেটুস, বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো, কর্ন এইসকল তো থাকবেই সাথে ফলের মধ্যে রাখতে পারেন যেমন – আম, বেদনা , কলা, পেয়ারা, পেঁপে, নাশপাতি, কমলা লেবু, বাতাবি ইত্যাদি। এই ফল ও সবজির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিক্সিডেন্ট যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর সালাদ খেলে পেট ভরে থাকে, ফলে অন্য খাবার কম খাওয়া হয় ।
বাইরে সালাদ খাওয়ার থেকে বাসায় সালাদ বানিয়ে খাওয়া বেশি উত্তম। এতে করে আপনি ফল ও সবজির সঠিক পুষ্টিগুণ পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সহজে সালাদ তৈরির প্রণালী:
উপকরণ:
পাকা পেঁপে ১/৩ কাপ, পছন্দ অনুযায়ী ক্যাপসিকাম ১/২ কাপ, টমেটো ১/২ কাপ, মুরগির কিমা ১/২ কাপ, গোল মরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো, লেবুর রস, লেটুস পাতা, লবণ পরিমাণ মতো, অলিভ অয়েল সামান্য পরিমাণ।
প্রণালী: প্রথমে মুরগির কিমা লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে রাখুন। এরপর একে একে বাকি সকল উপকরণ কিউব করে কেটে ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করা কিমার সাথে মিশিয়ে নিন। গোল মরিচের গুঁড়া, লেবুর রস, লেটুস পাতা, লবণ ও সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেলো পুষ্টিকর সালাদ। এই সালাদটি আপনি দুপুরের সময় আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এভাবে নিয়মিত সালাদ খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন এবং ওজন নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকুন।
Thank you for reading!