উলম্ব চাষাবাদ বা ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং
অল্প পরিসরে বিস্তর উৎপাদন , ভার্টিকাল ফার্মিং

২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনবসতি ২ বিলিয়ন হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। এই অতিরিক্ত মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়া চলেছে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শিল্প উন্নয়ন, নগরায়ন এর কারণে আমরা চাষযোগ্য জমি হারাচ্ছি প্রতিদিন। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবী তার এক-তৃতীয়াংশ চাষযোগ্য জমি হারিয়েছে গত ৪০ বছরে। আমরা জানি না আগামী ৪০ বছরে কি হতে চলেছে ।
তাই বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন প্রতিনিয়ত এই সমস্যা উত্তোরনের। তারই ধারাবাহিকতায় একটি পদক্ষেপ উলম্ব চাষাবাদ । উলম্ব চাষাবাদ এমন একটি পদ্ধতি যেখানে খাদ্যবস্তু উলম্ব ভাবে চাষ করা হয়। সাধারণ প্রক্রিয়ায় একই সমতলে চাষ না করে কয়েকটি তাকে খাদ্য চাষ করাকে উলম্ব চাষাবাদ বলা যেতে পারে।
উলম্ব চাষাবাদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চাষ করা হয়। বাহ্যিকভাবে তাপমাত্রা, আলো, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয় যেন সঠিক ভাবে গাছ বেড়ে উঠতে পারে। সাধারণত হাইড্রোপনিক্স, এরোপোনিক্স, একোয়াপনিক্স চাষাবাদের ক্ষেত্রে ভার্টিকাল ফার্মিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। মাটির বিকল্প হিসেবে কোকো পিট ব্যবহার করা হয়।
ভার্টিক্যাল ফার্মিং এর অন্যতম সুবিধা হলো খুবই কম জায়গায় অনেক খাদ্য উৎপাদন করা যায় । এছাড়া প্রচলিত চাষাবাদ এর চেয় প্রায় ৯০ শতাংশ কম পানির প্রয়োজন হয় ভার্টিকাল ফার্মিং এর।
তবে উলম্ব চাষাবাদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিদ্যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেড়ে যেতে পারে লেবার খরচ। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করেন খুব শীঘ্রই উলম্ব চাষাবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষ এর মাঝে।
Thank you for reading!