আয়ু বাড়ায় যেসব খাবার

আমরা যারা মানুষ সবারই অনেক দিন বাঁচার ইচ্ছা থাকে,আর জিীবনে বেশি দিন কে না বাঁচতে চাই। মানুষ কিভাবে আয়ু বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারে সে বিষয়ে গবেষণার শেষ নেই। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য অর্জনের জন্য আমাদের দরকার ভালো মানের পুষ্টি। আসুন তাহলে জেনে নেই যে সব খাবার প্রতিদিন খেলে বাড়বে আমাদের আয়ু।
- শাকসবজি
সবুজ শাক-সবজি, হলুদ রংয়ের সবজি এবং ফুলকপি-বাঁধাকপি জাতীয় সবজি খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য আপেল, নাশপাতি, লেবু জাতীয় ফল, সালাদ, সবুজ পাতার শাক বেশ কার্যকরী হতে পারে বলে একমতে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা।
- ফল
এদিকে প্রতিদিন ৮০০ গ্রামের বেশি ফল এবং সবজি খেলে স্বাস্থ্যের জন্য আরো বেশি উপকার হবে কি না সে বিষয়ে গবেষকরা নিশ্চিত নন। তবে এটা লক্ষ্য করা গেছে বেশিরভাগ মানুষ এর অর্ধেক পরিমাণ অর্থাৎ ৪০০ গ্রাম ফল এবং সবজি খেতে পারেন না।
- গাজর
গাজর হচ্ছে, সবচেয়ে পারফেক্ট স্বাস্থ্যকর খাবারসমূহের একটি, তাই এটি কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে এটি আপনার জন্য সত্যিই ভালো। কিন্তু আপনি কি জানতেন এটি আপনার জীবনকাল দীর্ঘ করার পাশাপাশি আপনাকে সেক্সিয়ার বা আবেদনময় দেখাতে সাহায্য করে? ইউনিভার্সিটিজ অব গ্লাসগো দ্বারা সম্পাদিত এক গবেষণায় আবিষ্কার হয় যে, গাজরের ক্যারোটিনয়েড (যা গাজরকে উজ্জ্বল কমলা বর্ণ প্রদান করে) বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে এবং আপনাকে সঙ্গীদের কাছে অধিক আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
- ডালিম
ডালিমের কিছু এক্সট্রাঅর্ডিনারি পাওয়ার আছে। নতুন এক ফ্রেঞ্চ গবেষণা অনুসারে, ডালিমের অম্লযুক্ত লাল বীজ মানুষকে অমরত্ব দিতে না পারলেও অন্ততপক্ষে দীর্ঘজীবন দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তারা ডালিমে ইউরোলিথিন এ নামক একটি মলিকিউল আবিষ্কার করেছেন, যা অন্ত্রে মাইক্রোব দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়ে বার্ধক্যের বড় একটি কারণের বিরুদ্ধে পেশী কোষকে রক্ষার জন্য নিজেদেরকে সমর্থ করে তোলে।
- মধু
মিষ্টিজাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর। কিন্তু মধু মিষ্টি হলেও এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে সক্ষম। প্রতিদিন মধু খেলে হৃদরোগ ও ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি রোগের শঙ্কা কমে। তাছাড়া ঠাণ্ডাজনিত অসুখ সারাতেও মধুর বিকল্প নেই। নিয়মিত এক চামচ মধু সব দুরারোগ্যের শঙ্কা কমিয়ে দেয়। স্তন এবং অন্ত্রের ক্যানসারে আশঙ্কা কমে যায়। তাই সুস্থ দেহের জন্য় নিয়মিত মধু খাওয়া উত্তম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Thank you for reading!