আখরোট কী? আখরোট কেন খাবেন??

আখরোট হলো এক প্রকার বাদাম জাতীয় ফল।যা দেখতে হৃৎপিণ্ড এর মতো।এটি দেখতে গোলাকার এবং এটি বীজ সম্পন্ন।প্রাচীনকালে এটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হতো। যেমনঃ আখরোটের তেল পেটের ব্যথা, ডাইরিয়া এবং অশ্বরোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত।স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এর তুলনা নেই।এছাড়াও মানুষ রিকেটস, ফ্রস্টাবাইট, এবং গ্রন্থির সমস্যার জন্য এর ব্যবহার করে থাকেন।
আখরোট খাওয়ার কোনো নিয়ম নেই। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই খাবারটি রাখলেই স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
আখরোটের উপকারিতাঃ
- আখরোটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফিনোল, ভিটামিন ই, গেলিক অ্যাসিড ইত্যাদি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- আখরোটের মধ্যে থাকা অ্যালজিজিক অ্যাসিড এক প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর রোগ প্রতিরোধ গুন নানারকম ভয়ানক রোগের সাথে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
- এর মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের বেশি পরিমাণে থাকায়, এটি মস্তিস্কের কোষে প্রবেশ করা পুষ্টিকরণের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং অবশিষ্ট কোষ গুলিকে বাইরে বের করে দেয়।
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, এবং রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত করে। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রক্তকে সঠিক ভাবে চলাচল করতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আখরোট শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
- আখরোট গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকেও প্রতিরোধ করে।
- নিয়মিত আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে। এতে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।
প্রতিটি খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও বিদ্যামান। অতিরিক্ত কোনো কিছু খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো নয়।তাই অন্যান্য খাবারের মতোই আখরোটও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। আপনি যদি আখরোট বেশি খেয়ে ফেলেন তবে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-
- অ্যালার্জি হতে পারে।
- লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কালো আখরোটে থাকা ফাইটেটস শরীরের আয়রন শুষে নিতে পারে। ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
তাই প্রয়োজন মোতাবেক আমাদের এটি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
Thank you for reading!