অলিভ ওয়েল দিয়ে কি কি করেতে পারেন

সাধারণ অলিভ অয়েল হলো জলপাই ফল থেকে তৈরি একধরনের তেল। প্রাচীনকালে অলিভ ওয়েলকে তরল সোনা হিসেবে গণ্য করা হতো। অলিভ ওয়েল আমাদের শরীর, ত্বক , স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।
সয়াবিন তেল ও সরিষার তেলের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতরা এখন রান্নার কাজে অলিভ ওয়েল ও বেছে নিয়েছে। তাছাড়া শুধু রান্নার কাজে নয় আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত এই তেলের চাহিদা বেড়ে চলেছে ।
আজ আমরা জানবো জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে আমরা কি কি করতে পারি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১। অলিভ অয়েলে এমন কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে সাহায্য করে।জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল পেটের জন্য খুবই উপকারি। এটা শরীরে এসিড কমায়, লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্টকাঠিণ্য রয়েছে, তাদের জন্য জলপাই তেল অধিক কার্যকর।
২।জলপাই তেল শরীরের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে খুব ভালো কাজ করে। অলিভ অয়েল গায়ে মাখলে বয়স ত্বকের কুচকানো ভাব দুর হয়।যাঁদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এ তেল ম্যাসাজ করলে তাদের ত্বকের চুলকানির সমস্যা প্রতিরোধ করবে। এমনকি এই তেল শিশুর ত্বকের জন্য ও নিরাপদ।
৩।জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী। মাথার শুষ্ক তালুর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে অলিভ অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী।অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক ও ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

৪। অলিভ অয়েল ময়েশ্চারাইজার, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস নিরাময়ক, ত্বকে তারুণ্য, স্কিন সেলস রিপেয়ার , প্রদাহ কমানো ইত্যাদি ক্ষেতে অনেক সাহায্য করে থাকে।
৫।মেক-আপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় মেক-আপ তুলতে গিয়ে নানা ধরনের মেক-আপ রিমুভার ব্যবহার করা হয়।যা সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সাধারণত ত্বক শুকিয়ে যাওয়া বা কোনও অ্যালার্জির সম্ভাবনা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে মেক-আপ রিমুভার হিসেবে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকর। এতে মেকআপ উঠে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকে।
৬।কালার বা ড্রাই হেয়ারের জন্য অলিভ অয়েলের একটি হট অয়েল ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করে।কারণ এই তেলে থাকে ভিটামিন E। যা চুল সতেজ ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে।এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল গরম করে তার পর চুলে ভালো করে লাগাতে হবে। তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করে নিতে হবে। যাতে চুলের আগা-গোড়া সর্বত্র তেল লাগানো হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।এতে চুলের পুষ্টিগুণ ফিরে আসবে।
৭।অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা দুরারোগ্য ব্যাধি মুক্তি দেয়। এ তেল স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করে। অলিভ অয়েলে থাকা মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগ থেকে বাঁচাতে ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে অলিভ অয়েল সাহায্য করে।
Thank you for reading!